চকরিয়া পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড বাজার পাড়ায় দেড় যুগ ধরে ভোগদখলীয় জায়গায় বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে চাঁদা দাবি ও ভাড়াটিয়া লোকজনের হামলার শিকার হয়েছে ৫ মাসের অন্ত:সত্বা আনছারু আক্তার হিরু(২৬)। তিনি বাজার পাড়া ১ নং ওয়ার্ডের নুরুল হোসেনের মেয়ে।
হামলার শিকার পরিবার অভিযোগ করে জানিয়েছে, গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাজার পাড়ার মৃত: মো.হোছনের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন ভাড়াটিয়া লোকজন ধারালো ছুরি, লোহার রড দিয়ে ছেনুয়ারা বেগমের (স্বামী- নুরুল হোসেন) বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। বাঁধা দিতে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে ধারালো ছুরি, লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাদের জখম করে। এসময় গুরুতর আহত হন ৫ মাসের অন্ত:সত্বা আনছারু আক্তার হিরু (২৬)।
পরদিন শনিবার ছেনুয়ারা বেগম (৫১) বাদী হয়ে একই এলাকার মো.গিয়াস উদ্দিনক প্রধান আসামি করে মো. শাহেদ, মো. কালু, সৈয়দ নুরু, সাইফুল ইসলামসহ আরও ৫ জন অজ্ঞাত দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী ছেনুয়ারা বেগম জানান, চকরিয়া পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড বাজার পাড়াস্থ লক্ষ্যারচর মৌজার সৃজিত বিএস ২১৩৫ নং খতিয়ানের বিএস ৫৯৯৯ নং দাগের আন্দর ১৬ কড়া বা ৫.৩৩ শতক বাড়ি ভিটা জমি বিগত ১৩/০৮/২০০২ ইং নুরুল হোসেন নামীয় বায়নাকৃত ও ছেনুয়ারা বেগম নামীয় রেজিষ্ট্রেশন দলিল নং ৫৩৬৭ তে ২০০৮ সাল থেকে খরিদা স্বত্ব দখলীকৃত জমিতে বসবাস করে আসছি। টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে কোন রকম মাথা গোঁজায় থাকি। সামনে বর্ষার দিন। ছাউনি ও বাঁশের বেড়া মেরামতের কাজ শুরু করিলে সমাজের কিছু কুচক্রী মহলের বসতভিটা লোলুপ সামলাতে না পেরে গিয়াস উদ্দিনের লেলিয়ে দেয়া লোকজন কাজ করতে আসা মিস্ত্রিদের কাজে বাধা দেন। অসুস্থ আয়েশা বেগম (১৮) দেখে শোর চিৎকার করিলে এগিয়ে আসে ৫ মাসের অন্ত:স্বত্বা মেয়ে আনছারু আক্তার হিরু। এসময় হামলাকারীরা বাড়ির বেড়া, ছাউনি ভাংচুর করে। হিরুকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন হালমাকারীরা। আনছারুল আক্তার হিরুর গলায় থাকা ১ ভরি ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় সু-কেইসের ড্রয়ার ভেঙ্গে ছেলের বিদেশ থেকে পাঠানো ৫৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে জানান তিনি । ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ছেনুয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা প্রতিনিয়ত অশালীন গালিগালাজ, ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে পরিবারকে গুম, খুন করার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তবে এসব বিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।